Hanuman Chalisa Bengali(হনুমান চালিশা লিরিক্স )
শ্রীহনুমানের গতি মানুষের মনের গতি অপেক্ষা দ্রুতগামী। তিনি বায়ুর মতোই বেগবান এবং মহা শক্তিশালী । অথচ তিনি সমস্ত ইন্দ্রিয় জয় করেছেন। তিনি বুদ্ধিমানদের মধ্যে শ্রেষ্ঠতম। তিনি সর্বগুণান্বিত। তিনি বানরগণের অধীশ্বর। স্বর্ণগিরির মতো তাঁর দেহকান্তি। তাঁর মুখাবয়ব রক্তবর্ণ। তিনি সমগ্র রাক্ষসকুলকে মশার মতো ধ্বংস করেছিলেন। সেই মহা তেজস্বী হনুমান ছিলেন শ্রীরামচন্দ্রের শ্রেষ্ঠ ভক্ত। তিনিই সমগ্র পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছেন ভক্তি কাকে বলে এবং কীভাবে ভক্তি থেকেই জীবের মুক্তিলাভ ঘটে।তাইতো গোস্বামী তুলসীদাস তাঁর শ্রীরামচরিতমানস গ্রন্থে লিখে গিয়েছেন
আলোচ্য বিষয়
Toggleযত্র যত্র রঘুনাথকীর্তনাং তত্র তত্র কৃত মস্তকাঞ্জলিম্।
বাষ্পবারিপূর্ণলোচনং মারুতিং নমত রাক্ষসান্তকম্।।
অর্থাৎ যেখানে যেখানে প্রভু শ্রীরামচন্দ্রের সম্পর্কে কথা বা কাহিনীর সামান্যতম আলোচনা শোনা যায়, সেখানেই পবননন্দন হনুমান সেই মুহুর্তে উপস্থিত হন। মস্তক নত করে বাস্পপূর্ণ নয়নে রামচন্দ্রের কথা শোনেন এবং হৃদয় দিয়ে অনুভব করেন। রাক্ষসবংশধ্বংসকারী সেই মারুতি অর্থাৎ হনুমানকে গভীর শ্রদ্ধা সহকারে প্রণাম করি।
Hanuman Chalisa Bengali Version:
জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর।
জয় কপীস তিহুঁ লোক উজাগর ৷৷ ১ ৷৷
হনুমান চালিশা মন্ত্র পাঠ নিচে আছে পড়ে নিন।
Hanuman Chalisa Bengali Pdf Download: হনুমান চালিশা বাংলা লিরিক্স PDF ডাউনলোড করতে হলে আপনাকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।
Hanuman Chalisa Bengali(হনুমান চালিশা বাংলা ভাষায় full)
হনুমান চালিসা একটি মহৎ হিন্দু ধর্মীয় প্রার্থনা গান। এটি হনুমানের মহিমা, গুণ, শক্তি এবং প্রেম উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে।এটি মূলত তুলসীদাস রচিত। হনুমান চালিসা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্রচলিত, যেমন হনুমান জন্মাষ্টমী, তুলসী বিবাহ উৎসব, রামনবমি ইত্যাদি। এটি হনুমানের ভক্তদের মধ্যে অনেক পণ্ডিত, ব্রাহ্মণ, সাধু, সন্ন্যাসী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে খুব প্রিয়। এর পঠন ও কীর্তনের মাধ্যমে মানুষ দৈববিশ্বাস এবং অত্যাধুনিক জীবনের সমস্যার মুক্তি অর্জন করতে চেষ্টা করে।
Hanuman Chalisa Bengali
(বাংলা পয়ার ছন্দে)
জয় জয় হনুমান সর্বগুণাধার।
তাঁর গুণগান করি কি সাধ্য আমার ।।
নিজ গুণগান তুমি করহ কীর্তন।
পবনের পুত্র যিনি অঞ্জনা নন্দন ।।
মাতৃক্রোড়ে থাকি তুমি যখনি দেখিলে।
রক্তবর্ণ সূর্যদেব উদিত পূর্বাচলে ।।
ধরিবারে ইচ্ছা তব জাগিল মনেতে।
পাখসাট মারি গেলে তাহারে ধরিতে।।
দেখি তাহা সূর্যদেব ভরে কম্পমান।
ইন্দ্রের নিকটে গেল পাইবারে ত্রাণ।।
ইন্দ্রদেব হানে বজ্র হনুর উপরে।
অচেতন হয়ে হনু পড়ে মাতৃক্রোড়ে৷৷
বিপদ ঘটিল বুঝি অতি ত্বরা করে।
নিজে আসি পদ্মযোনি রাখিল তাহারে।।
দেব-কার্য সিদ্ধ লাগি জনম যাঁহার।
লম্ফ দিয়া যিনি হবে সাগরের পার ৷৷
হইলেন মন্ত্রী তিনি শ্রীরামের দাস।
প্রবল বিক্রমশালী কিস্কিন্ধায় বাস।।
সাগল লঙ্ঘিয়া গেলে সীতা অন্বেষণে।
লঙ্কাদগ্ধ করি শেষে সমাচার আনে।।
মহাবীর সুপণ্ডিত যিনি বজরঙ্গী।
কুমতির ধ্বংসকারী সুমতির সঙ্গী ।।
সোনার বরণ দেহ রক্তাভ বসন।
সুবর্ণ কুন্তল যার কর্ণ আভরণ।।
রাম জয়ধ্বজা শোভে বজ্রসম হাতে।
গদা শোভে স্কন্ধোপরে দুষ্টে শাস্তি দিতে।।
ভক্তিতে বাঁধেন তিনি রাম রঘুনাথে।
ভক্তাধীন ভগবান দেখালেন জগতে ৷৷
ভক্ত শ্রেষ্ঠ বীর শ্রেষ্ঠ সীতার বরেতে।
চারিযুগে অমর হলেন জগতে ৷৷
রাবণ তনয় বড় মায়াধর ছিল।
রামচন্দ্র লক্ষ্মণেরে হরণ করিল।।
অহিরে বধিয়া যিনি শ্রীরামে উদ্ধারে।
তাঁহার বীরত্ব বল কে বর্ণিতে পারে।।
সীমাহীন কীর্তি তাঁর কে পারে বর্ণিতে।
নারদাদি মুনি নাহি পারে সীমা দিতে।।
তাঁহার ভক্তিতে তুষ্ট দেব পঞ্চানন।
সর্বদা চরণ তাঁর বন্দে ভক্তগণ ।।
অতুলিত বলধাম হয়ে ত্রিজগতে।
সদানন্দে মত্ত থাকে শ্রীরাম নামেতে ।।
গন্ধমাদন পর্বত আনি অবহেলে।
রাম হতে রাম নাম শ্রেষ্ঠ প্রমাণিলে ।।
শত আট নীল পদ্ম শ্রীরাম নামেতে।
রামচন্দ্রে আনি দিলে ভবানী পুজিতে।।
অতি অজ্ঞ মূঢ় আমি নাহি কোন জ্ঞান।
নিজগুণে হৃদিপদ্মে হও অধিষ্ঠান।।
না পাইলে কৃপা তব ওহে কৃপাময়।
ধর্ম অর্থ কাম মোক্ষ সব বৃথা যায়।।
যাঁর নানে ভূত প্রেত দৈত্যদানাগণ।
প্রাণের ভয়েতে দূরে করে পলায়ন।।
গ্রহশ্রেষ্ঠ শনিরাজ গুণে, বশ যার।
নাম নিলে গ্রহদোষ থাকে না তাহার ।।
রোগ-শোক-পাপ-তাপ যার নামে হরে।
ওহে ভক্তবীর থাক হৃদয় মাঝারে।।
দুষ্টেরে দমন কর শিষ্টেরে পালন।
অনাথের গতিদাতা পবন নন্দন।।
সাধনা ও ভক্তিতত্ব যিনি সর্বজ্ঞাত।
সেই হনু পদে মন রাখহ সতত।।
অষ্টসিদ্ধি লাভ হয় তাহার কৃপায়।
রিদ্ধি সিদ্ধি সব কিছু তাঁর দ্বারা হয়।।
বাঞ্ছা কল্পতরু ভক্তাধীন ভগবান।
ত্রিলোকেতে যিনি ইহা করিল প্রমাণ।।
রাম নাম সদা ভজ রাম নাম সার।
রাম নাম বিনা ভবে সকলি অসার।।
রাম কৃপা লভি যিনি হলেন অমর।
সেই হনু কৃপা লাগি হও হে তৎপর ।।
রাম সীতা বক্ষ মাঝে দেখালেন যিনি।
তাঁর শ্রীচরণে সদা মতি রাখি আমি।।
সে বীর ভক্তের যদি কৃপা নাহি হয়।
কলিযুগে মানবের গতি নাহি হয়।।
যেইজন লাভ করে তাঁহার করুণা।
জগতে সকলই পায় সেই ভক্তজনা ।।
ভক্ত হনুমন্ত নাম ভজে যেই জনে।
দেহ অস্তে স্থান পায় বিষ্ণুর চরণে।।
এ পবিত্র নামে কেহ করিও না হেলা।
কলিযুগে স্বল্প আয়ু ভজ এই বেলা।
তারক ব্রহ্ম রাম নাম হয় যেই স্থানে।
ছদ্মবেশে মহাবীর রহেন সেখানে।।
আশীর্বাদ করি শেষে পবন নন্দন।
মহানন্দে নিজস্থানে করেন গমন।
মহাবীর রূপে তুমি খ্যাত ত্রিভুবনে।
অসংখ্য প্রণাম তব ও দুটি চরণে।।
এ বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে তব নাহিক তুলনা।
করযোড়ে করি প্রভু তোমার বন্দনা ৷৷
হনুমান চালিশা যেবা পড়ে শোনে।
কোন পাপ তাহে নাহি স্পর্শে ত্রিভুবনে॥
ভক্তিভরে এ চালিশা যে জন পড়িবে।
রোগ-শোক-দুঃখ তার অবশ্য ঘুচিবে ।।
হনুমান চালিসা সাঙ্গ পাঁচালীর ছন্দে।
দীন শক্তিপদ লিখে মনের আনন্দে।।
Hanuman Chalisa Bengali (হিন্দী)
হনুমান চালিসা একটি বিশেষ ধার্মিক স্তোত্র, যা হিন্দু ধর্মের অংশ। এটি হনুমান জন্মগ্রহণ, তার শক্তি এবং গুণগত মাহাত্ম্যের বিষয়ে কথা বলে। চালিসা শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘চলিতবার্তা’ বা ‘চলিত মন্ত্র’, এবং এটি হনুমান ভক্তদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। হনুমান চালিসা হিন্দু ধর্মীয় বিশ্বাসীদের প্রতি হনুমানের আশীর্বাদ, রক্ষা এবং কাজে সফলতা এনে দেওয়ার জন্য পড়া হয়। এটি সাধারণত ৪০টি চমকপূর্ণ বাক্য থেকে গঠিত। প্রতিটি বাক্যে হনুমান দেবতার গুণগত গুণাবলী এবং মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়।
দোহা
শ্রীগুরু চরণ সরোজ রজ, নিজ মনু মুকুরু সুধারি।
বরনউ রঘুবর বিমল জসু, জো দাযকুফল চারি।
শ্রীগুরু চরণ পদ্মের পবিত্র ধুলা মানস দপর্ণকে সুপবিত্র করে। শ্রীরঘুবরের বিমল যশ বর্ণনা করলে ও শ্রবণ করলে ধৰ্ম্ম অর্থ মোক্ষ ও কাম চারি বর্গ ফল পাওয়া যায় ।
বুদ্ধিহীন তনু জানিকে, সুমিরৌ পবন-কুমার।
বল বুধি বিদ্যা দেহু মোহি, হরহু কলেশ বিকার ।
হে পবন নন্দন! আপনার শ্রীচরণপদ্ম আমি স্মরণ করি। আপনি জ্ঞাত আছেন, আমার শরীর ও জ্ঞান বুদ্ধি দুর্বল। আপনি আমাকে অনুগ্রহ পূর্বক শারীরিক শক্তি সদ্বুদ্ধি এবং জ্ঞান দিয়ে সমস্ত দুঃখ ও দোষ বিদূরিত করুন।
চৌপাই
জয় হনুমান জ্ঞান গুণ সাগর।
জয় কপীস তিহুঁ লোক উজাগর ৷৷ ১ ৷৷
হে হনুমান! আপনার জয় হোক। আপনি অসীম জ্ঞান ও গুণের মহাসাগর। আপনি একমাত্র আপনার তুলনা। এই বিশাল ব্রহ্মাণ্ডের সর্বত্র আপনার কীর্তি-পরিমণ্ডিত আছে৷৷ ১ ৷
রাম দূত অতুলিত বল ধামা।
অঞ্জনী-পুত্র পবনসুত নামা ৷৷ ২ ৷৷
আপনি ভগবান রামচন্দ্রের পরম ভক্ত ও দূত। এ জগতে আপনার সমতুল্য শক্তিশালী কেউ নাই। তাই আপনি অঞ্জনা পুত্র এবং পবন নন্দন রূপে পৃথিবীর বিখ্যাত মহাপুরুষ ।।২ ।।
মহাবীর বিক্রম বজরঙ্গী।
কুমতি নিবার সুমতি কে সঙ্গী ৷৷ ৩৷৷
হে মহান বজরঙ্গবলী! আপনার বিশেষ শক্তিতে আপনি মহা শক্তিমান। আপনি জীবের কুমতি বিধ্বংস করে সুমতি দান করুন ৷৷ ৩৷৷
কঞ্চন বরন বিরাজ সুবেসা।
কানন কুণ্ডল কুঞ্চিত কেশা৷৷ ৪৷৷
আপনার মনোহর কাঞ্চন বর্ণ রূপজ্যোতি, পরিধানে মনোমুগ্ধকর বসন, কর্ণে কুণ্ডল ও কুঞ্চিত কেশ অতীব শোভমান ৷৷ ৪ ৷৷
হাত বজ্র ঔ ধ্বজা বিরাজৈ ।
কাঁধে যুঁজ জনেউ সাজৈ ৷ ৫৷৷
আপনার বজ্র হস্তে ধ্বজা আছে তথাপি আপনার স্কন্ধে মহাগদা সর্বদা সুশোভিত৷৷৫৷৷
শঙ্কর সুবন কেশরী নন্দন ।
তেজ প্রতাপ মহা জগ-বন্দন৷৷ ৬৷
হে মহারুদ্র শঙ্কর অবতার! হে কেশরী নন্দন! আপনার মহান শক্তির উৎসকে ত্রিভুবনবাসী বন্দনা করে। ৬ ৷৷
বিদ্যাবান গুণী অতি চাতুর।
রাম কাজ করিবে কো আতুর ॥৭॥
আপনি অসীম চতুর বিদ্যাবান ও গুণবান। আপনি সর্বদা শ্রীরামচন্দ্রের কাজে ব্যস্ত থাকতে ভালবাসেন ৷৷ ৭ ৷৷
প্রভু চরিত্র সুনিবে কো রসিয়া ।
রাম লক্ষ্মণ সীতা মন বসিয়া ॥ ৮॥
আপনি রঘুবর রামচন্দ্রের পবিত্র গুণ কীর্তন শ্রবণ করে মহানন্দ লাভ করেন। ভগবান শ্রীরামচন্দ্র, মা জানকী ও খুল্লতাত লক্ষ্মণ আপনার হৃদয়ে বৰ্তমান৷৷ ৮ ৷৷
সূক্ষ্ম রূপ ধরি সিয়হি দিখাবো।
বিকট রূপ ধরি লঙ্ক জরাবা ॥৯॥
আপনি বুদ্ধি ও ক্ষমতাবলে অতীব সূক্ষ্ম রূপ ধারণ করে মা জানকীকে দর্শন করলেন আবার অতি ভয়ঙ্কর মূর্তি ধারণ করে লঙ্কাধিপতি রাবণের স্বর্ণলঙ্কা দগ্ধ করলেন ॥ ৯॥
ভীম রূপ ধরি অসুর সংহারে।
রামচন্দ্র কে কাজ সঁবারে ৷৷ ১০৷
আপনি ভীষণা রূপ ধারণ করে রক্ষকুল নিপাত করলেন। আপনি ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের উদ্দেশ্যকে সফল করার জন্য সকল বাধা-বিঘ্নকে লঙ্ঘন করে তাঁর সকল কাজে সাহায্য করলেন৷৷ ১০ ৷৷
লায় সজীবন লখন জিয়ায়ে
শ্রীরঘুবীর হরষি উর লায়ে ॥ ১১॥
আপনি সুদুর গন্ধমাদন পর্বতে গিয়ে সঞ্জীবনী ঔষধ সংগ্রহ পূর্বক লক্ষ্মণের জীবন রক্ষা করলেন। আপনার মহান কর্মে রঘুবীর রামচন্দ্র পরম আনন্দিতহয়ে সর্বদা আপনার হৃদয়ে অবস্থান করেন । ১১ ৷৷
রঘুপতি কীন্হী বহুত বড়াঈ।
তুম মম প্রিয় ভরতহি সম ভাই ৷৷ ১২৷৷
হে অঞ্জনা নন্দন। আপনি ভগবান শ্রীরামচন্দ্র কর্তৃক ভূয়সী প্রশংসিত হলেন। তিনি প্রকাশ করলেন তাঁর ভ্রাতা ভরতের সমান আপনি মহান ও ভক্তিভাজন ৷৷ ১২ ৷৷
সহস বদন তুম্হারো য়স গাবে।
অস কহি শ্ৰীপতি কণ্ঠ লগাবৈ ৷৷১৩৷৷
সহস্র সহস্র মানব আপনার যশোগীত গাইবে। সবাই আপনাকে শ্রীপতি শ্রীরামের কণ্ঠহার সমান দর্শন করবে ৷৷ ১৩ ৷৷
সনকাদিক ব্রহ্মাদি মুনিসা।
নারদ সারদ সহিত অহীসা ৷৷১৪৷৷
সনক, সনন্দ, সনৎ কুমার, সনাতনাদি মুনিবৃন্দ ব্রহ্মাদি দেবতামণ্ডলী এবং শেষ নাগও আপনার গুণবানে মুখরিত। ১৪৷৷
য়ম কুবের দিগপাল জহাঁ তে।
কবি কোবিদ কহি সকে কহাঁ তে৷৷১৫৷৷
কুবেরাদি সকল দিকপালগণ আর কবি বিদ্বান সবাই আপনার যশোগানে মুখরিত হবেন ৷৷ ১৫৷৷
তুম উপকার সুগ্রীবহি কীন্হা ।
রাম মিলায় রাজ পদ দীন্হা ৷৷ ১৬৷৷
আপনি সুগ্রীবরাজকে প্রভুত উপকার করেছেন। আপনার অসীম কৃপায় তিনিও ভগবান রামচন্দ্রকে দর্শন ও তাঁর কৃপাবলে সুগ্রীব রাজপদ প্রাপ্ত
হয়েছে । ১৬।
তুম্হরো মন্ত্র বিভীষণ মানা ।
লঙ্কেশ্বর ভয়ে সব জগ জানা ৷৷ ১৭ ॥
আপনারই পরামর্শে রাক্ষসভ্রাতা বিভীষণ ভগবান শ্রীরামের চরণ দর্শন পেয়েছেন। আপনারই কৃপায় তিনি রামচন্দ্রকে অনুসরণ করে রাজপদ প্রাপ্ত
হন ৷৷ ১৭ ৷৷
জুগ সহস্র যোজন পর ভানু।
লীল্যো তাহি মধুর ফল জানু ৷৷ ১৮৷৷
হে সূর্য্য নারায়ণ সহস্র যোজন দূরে অবস্থান করছেন। যাঁর কাছে উপনীত হতে সহস্র যুগ সময় প্রয়োজন হয়। সেই সূর্য্যদের স্বয়ং আপনাকে ফল প্রদান করেছিলেন ৷৷ ১৮॥
প্রভু মুদ্রিকা মেলী মুখ মাহী।
জলধি লাঁঘি গয়ে অচরজ নাহী ৷৷ ১৯৷৷
আপনি শ্রীরামের নাম শরণ করে বিশাল জলধি অতিক্রম করেছিলেন। তাঁর কৃপায় বিশাল সাগর আপনাকে সাহায্য করেছিলেন। আবার জলধি আপনাকে স্তব করে খুশী হয়েছিলেন ৷৷ ১৯ ৷৷
দুর্গম কাজ জগত কে জেতে।
সুগম অনুগ্রহ তুম্হরে তেতে৷৷ ২०॥
আপনি সংসারের সবচেয়ে বড় ও কঠিন কাজ সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছিলেন। আপনিই একমাত্র দুর্গম কাজকে সুগম করতে সক্ষম হয়েছিলেন ৷৷ ২০॥
রাম দুবারে তুম রখবারে।
হোত ন আজ্ঞা বিনু পৈসারে ৷৷ ২১৷৷
শ্রীরামচন্দ্রের মঙ্গলের জন্য আপনি দ্বার রক্ষা করেছিলেন। আপনার আদেশ ব্যতিত সেখানে প্রবেশ করতে কেউ সক্ষম হননি ৷৷ ২১ ৷৷
সব সুখ লহৈ তুম্হারী সরনা।
তুম রক্ষক কাহু কো ডরনা৷৷২২৷৷
আপনার শ্রীনাম স্মরণকারী ব্যক্তি সকল প্রকার সুখ পেয়ে থাকেন। আপনাকে যিনি নিত্য নিত্য স্মরণ করেন, তাঁর কোনপ্রকার বিঘ্ন থাকে না ৷৷২২৷৷
আপন তেজ সম্হারো আপৈ ।
তীনোঁ লোক হাঁক তে কাঁপৈ৷৷২৩৷৷
আপনার তেজকে কেবলমাত্র আপনি সহ্য করে ধারণ করে রাখতে পারেন। সে শক্তিমাত্র আপনাতেই নিহিত। কারণ আপনার সিংহগর্জনে ত্রিভুবন কম্পিত হয়ে থাকে৷৷ ২৩ ৷৷
ভূত পিশাচ নিকট নহি আবৈ ।
মহাবীর জব নাম সুনাবৈ ৷৷ ২৪ ৷৷
হে অঞ্জনা নন্দন! যিনি আপনার মহাবীর নাম জপ করতে থাকেন তাঁর পাশে কোন প্রকার ভূত-প্রেত ও দুষ্ট ব্যক্তি আসতে পারে না। কেউ তাঁর
অনিষ্ট করতে পারে না ৷৷ ২৪৷৷
নাসৈ রোগ হরৈ সব পীরা।
জপত নিরন্তর হনুমত বীরা ৷৷ ২৫৷৷
হে মহাবীর হনুমানজী! দিবারাত্রি আপনার নাম স্মরণ করলে সকল প্রকার রোগের বিনাশ ঘটে। আপনার মঙ্গলময় নামে জীবের সকল কষ্ট দূরীভূত হয় ৷৷২৫৷৷
সঙ্কট তেঁ হনুমান ছুড়াবে।
মন ক্রম বচন ধ্যান জো লাবৈ ৷৷ ২৬ ॥
আপনার নাম ধ্যান ও জপ করে যে ব্যক্তি সংসার নির্বাহ করেন তার সকল প্রকার দুঃখ কষ্ট বিনাশপ্রাপ্ত হয়ে থাকে ৷৷ ২৬৷৷
সব পর রাম তপস্বী রাজা।
তিন কে কাজ সকল তুম সাজা ৷৷২৭৷
রাজা শ্রীরামচন্দ্র সর্বশ্রেষ্ঠ তপস্বী। আপনি তাঁর সমুদয় কার্য্য সম্পন্ন করে ত্রিভুবনে ধন্য হয়েছেন ৷৷ ২৭ ৷৷
ঔর মনোরথ জো কোই লাবৈ ।
সোই অমিত জীবন ফল পাবে ৷৷ ২৮৷৷
আপনার উপাসক বা সেবক মনে মনে কোন কিছু আশা পোষণ করলে আপনার কৃপায় তাঁর সকল অভিলাষ পূর্ণ হয়ে থাকে। সকল জীবের কামনা বাসনা পূরণ করতে আপনি একমাত্র সক্ষম ৷৷ ২৮ ৷৷
চারোঁ যুগ পরতাপ তুম্হারা ।
হৈ পরসিদ্ধ জগত উজিয়ারা। ২৯।
সত্য ত্রেতা দ্বাপর কলি চারিযুগে আপনার যশোগান বিদ্যমান আছে। আপনার কীর্তি নিখিল বিশ্বে প্রকাশিত। তাই সমগ্র জগৎ আজ আপনার উপাসক ৷৷ ২৯ ৷৷
সাধু সন্ত কে তুম রখবারে।
অসুর নিকন্দন রাম দুলারে ৷৷ ৩০ ৷৷
হে শ্রীরামচন্দ্র স্নেহাশ্রিত হনুমান জী! সাধু ও ধর্মপ্রাণা ব্যক্তিদের আপনি রক্ষা করেন। আর আসুরিক আচার সম্পন্ন ব্যক্তিদের বিনাশ করে সংসারকে রক্ষা করেন।৩০॥
অষ্ট সিদ্ধি নৌ নিধি কে দাতা।
অস বর দীন জানকী মাতা ৷৷ ৩১ ॥
হে কেশরী নন্দন! আপনাকে সীতা মাতা এমন বর প্রদান করলেন তাতেই আপনার অষ্টসিদ্ধি ও নৌসিদ্ধির কারণ হয়ে গেল।। ৩১ ৷৷
রাম রসায়ন তুম্হরে পাসা।
সদা রহো রঘুপতি কে দাসা ৷৷ ৩২ ৷৷
সর্বদা আপনি শ্রীরাম রঘুপতির নাম শরণ করেই থাকেন। তাই আপনার কৃপায় বৃদ্ধাবস্থা ও অন্ধত্ব রোগ বিদূরিত হয়ে থাকে। ‘রাম নাম’ ভবরোগের বিশাল ঔষধি ৷৷ ৩২ ৷৷
তুম্হরে ভজন রাম কো ভাবে।
জনম-জনম কে দুখ বিসরাবৈ ৷৷৩৩৷৷
আপনাকে ভজনকারী ব্যক্তি শ্রীরামচন্দ্রকে দর্শন পেতে সক্ষম হয়। সে ভক্তের জন্ম জন্মান্তরের সকল দুঃখরাশি বিনষ্ট হয়ে থাকে ৷৷ ৩৩ ৷৷
অন্তকাল রঘুবরপুর জাঈ।
জহাঁ জন্ম হরি-ভক্ত কহাঈ ৷৷ ৩৪ ৷৷
আপনাকে ভজনকারী ভক্ত অন্তকালে শ্রীভগবানের শ্রীধামে গমন করে। মৃত্যুর পরেও সে হরিভক্ত হয়ে থাকে৷৷ ৩৪ ৷৷
ঔর দেবতা চিত্ত ন ধরঈ।
হনুমত সেঈ সর্ব সুখ করঈ ৷৷ ৩৫৷
হে মহাবীর হনুমানজী! যে ভক্ত একান্তভাবে আপনাকে ভজনা করে থাকে সেই সর্বপ্রকার সুখানন্দ লাভ করে। তাকে আর অপরাপর দেবদেবীর পূজায় আত্মনিয়োগ করতে হয় না। একমাত্র আপনার সেবায় সর্বমনস্কামনা পূৰ্ণ হয় ৷৷ ৩৫ ৷৷
সঙ্কট কটৈ মিটৈ সব পীরা
জো সুমিরৈ হনুমত বলবীরা ৷৷৩৬৷৷
হে সঙ্কটহারী মহাত্মন্! আপনাকে যে সর্বদা স্মরণ করে থাকে তার সর্ববিঘ্ন বিনাশ হয়। তাকে আর কোনপ্রকার দুঃখকষ্টের সম্মুখীন হতে হয়
না ৷৷৩৬৷৷
জৈ জৈ জৈ হনুমান গোসাঈ।
কৃপা করহু গুরুদেব কী নাঈ । ৩৭ ॥
হে মহাভক্ত হনুমান! অবিরত আপনার জয় হোক। জয় অবশ্যই হোক! গুরু সদৃশ আপনার কৃপা বর্ষিত হয়। অবিরত আমি তাই আপনার উপাসনা করি ॥ ৩৭ ॥
জো শত বার পাঠ কর কোঈ।
ছুটহি বন্দি মহা সুখ হোঈ ৷৷ ৩৮ ৷
যে ব্যক্তি ভক্তিসহকারে ও পবিত্রভাবে প্রত্যহ শতবার আপনার চালিশা পাঠ করে থাকে তার সাংসারিক বন্ধন মোচন হয়ে পরম আনন্দ বৰ্দ্ধন হয়।।
জো য়হ পড়ৈ হনুমান চালীসা ।
হোয় সিদ্ধ সাখী গৌরীসা ৷৷৩৯৷৷
গৌরীপতি শিব শঙ্করজী আপনার মাহাত্ম্যপূর্ণ চালিসা রচনা করে গেছেন। এই চালিসা নিত্য পাঠ করলে সফলতা অর্জন হয় ৷৷ ৩৯ ৷৷
তুলসীদাস সদা হরি চেরা।
কীজৈ নাথ হৃদয় মহঁ ডেরা ৷৷ ৪০৷৷
হে নাথ হনুমানজী! তুলসী দাস ছিলেন শ্রীরামের একনিষ্ঠ ভক্ত। তিনি ছিলেন শ্রীরামের দাসবৎ। আপনি ও শ্রীরাম রঘুমণি নিরন্তর তাঁর হৃদয়াসনে উপবিষ্ট থাকেন ৷৷ 80 |
Hanuman Chalisa Bengali দোহা
পবন তনয় সঙ্কট হরণ ,মঙ্গল মুরতি রূপ।
রাম লখন সীতা সহিত,
হৃদয় বসহু সুর ভূপ৷
হে মহামতি পবননন্দন। আপনি সকল প্রকার সঙ্কটহরণকারী,আপনি জগতের সকল মূর্তি স্বরূপ। আমার প্রার্থনা আপনি শ্রীরামচন্দ্র, মাতা সীতা ও লক্ষ্মণসহ আমার হৃদয়াসনে উপবিষ্ট হন। হে অঞ্জনানন্দন জয় হোক আপনার ।
—ইতি শ্রীহনুমান চালিশা।
Hanuman Chalisa Bengali শ্রীরামচন্দ্রের প্রণাম
রামায় রামচন্দ্রায় রাম ভদ্রায় বেধসে।
রঘুনাথায় নাথায় সীতায়া পতয়ে নমঃ।।
দক্ষিণে লক্ষ্মণো ধন্বী বামতো জানকী শুভ।
পুরতঃ মরুতির্যস্য ত্বং নমামি রঘুত্তমম্।।
Hanuman Chalisa Bengali হনুমানজীর প্রণাম
মনোজবং মারুততুল্য বেগং জিতেন্দ্রিয় বুদ্ধিতমতাং বরিষ্ঠম্
বাতাত্মজং বানরযূথং মুখ্যং শ্রীরামদৃতং শিরসা নমামি।
ওঁ শ্রীশ্রীসীতালক্ষ্মণভরতশত্রুঘ্নহনুমন্তসমেত শ্রীশ্রীরামচন্দ্র পরমব্রহ্মণে নমঃ৷৷
হনুমান চালিশা বাংলা লিরিক্স PDF
বিষয় | Hanuman Chalisa Bengali |
হনুমান চালিশা বাংলা লিরিক্স PDF | Click here |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবনী সম্পর্কে জানুন: Click here
স্বামী বিবেকানন্দের মানুষ গড়ার শিক্ষা সংক্রান্ত ধারণা সম্পর্কে জানুন: Click Here
hanuman chalisa Hindi Language: click here
Hanuman Chalisa bengali FAQ Questions
১) হনুমান চালিশা প্রতিদিন পাঠ করলে কি হয়?
উঃ প্রতিদিন হনুমান চালিশা পাঠ করলে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা উন্নত হতে পারে। এটি তার ধ্যান, সহজলাভ্য জ্ঞান, অধ্যয়নের সুবিধা, এবং আত্মিক শান্তি বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। আরও নির্ভরযোগ্য, সত্যবাদী, সুবিধাজনক, এবং সহজলাভ্য সমাধান প্রদানের মাধ্যমে তার জীবনের প্রতিটি দিনকে আরো সুন্দর ও সফল করতে সাহায্য করতে পারে।
২) ঘুমানোর আগে হনুমান চালিশা পড়া যাবে কি?
উঃ হ্যাঁ, হনুমান চালিশা ঘুমানোর আগে পড়া যেতে পারে। এটি অনেকের মধ্যে একটি প্রচলিত অভ্যাস যা ঘুমানোর আগে মন ও শরীরে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা অনুভব করতে সাহায্য করতে পারে।
৩) রোজ হনুমান চালিশা পড়লে কি হয়?
উঃ হনুমান চালিশা পড়া হিন্দু ধর্মে বিশেষ গৌরবে রয়েছে।হনুমান চালিশা পাঠ করলে বিশেষ করে হনুমানের আশীর্বাদ মিলে এবং ভক্তি উন্নত হয়। এছাড়াও, বিভিন্ন কষ্ট থেকে মুক্তি এবং অন্যান্য আশীর্বাদ প্রাপ্ত হতে পারে।