আলোচ্য বিষয়
Toggleরাজা রামমোহন রায় প্রবন্ধ রচনা PDF: রাজা রামমোহন রায় ছিলেন প্রথম ভারতীয় ধর্মীয় এবং সামাজিক পুনর্গঠন আন্দোলন ব্রাহ্মসমাজের প্রতিষ্ঠাতা এবং বাঙালি দার্শনিক। তৎকালীন রাজনীতি, জনপ্রশাসন, ধর্মীয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে রামমোহন রায়ের উল্লেখযোগ্য প্রভাব ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে ‘ভারতপথিক’ এবং দিলীপ কুমার বিশ্বাস তাকে ‘বিশ্বপথিক’ বলে অভিহিত করেছেন। আজকের এই পর্বে আমরা তোমাদের সাথে আলোচনা করতে চলেছি রাজা রামমোহন রায় প্রবন্ধ রচনা। রাজা রামমোহন রায় প্রবন্ধ রচনা PDF ডাউনলোড করতে তোমাদের শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। সবার নিচে PDF ফাইল টি দেওয়া রয়েছে।
বিষয় | রাজা রামমোহন রায় প্রবন্ধ রচনা PDF |
জন্ম তারিখ | ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ২২ শে মে |
জন্মস্থান | হুগলি জেলার অন্তর্গত খানাকুল-কৃষ্ণনগরে |
পিতার নাম | রামকান্ত রায় |
মাতার নাম | তারিণী দেবী |
মৃত্যু তারিখ | ১৮৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর |
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা ছোটদের জন্য ৫০০ শব্দের সহজ ভাষায়ঃ Click here
রাজা রামমোহন রায় প্রবন্ধ রচনা PDF
ঊনবিংশ শতাব্দীর ভারত তথা বঙ্গদেশ যখন অশিক্ষা, কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি, কুপ্রথা ইত্যাদির নাগপাশে আবদ্ধ, ইতিহাসের সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগে আবির্ভাব ঘটে এক যুগন্ধর পুরুষের—তাঁর নাম রামমোহন রায়। অসামান্য শৌর্যবীর্য, দৃঢ় প্রত্যয় ও পাণ্ডিত্যের সমন্বয়ে গঠিত ব্যক্তিত্ব ও লড়াকু চেতনা নিয়ে তিনি রুখে দাঁড়ান প্রাচীন সামাজিক সংস্কার, রীতিনীতি ও প্রথার বিরুদ্ধে। এসব প্রথা দেশের সমাজব্যবস্থাকে আবদ্ধ করে রেখেছিল শতাব্দীব্যাপী অন্যায়-অবিচারের কবলে, অসহায় দূর্বল শ্রেণির উন্নতি ও বিকাশকে আটকে রেখেছিল শাসন ও নিয়ন্ত্রণের প্রতিরোধহীন বাধ্যবাধকতায়। এহেন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ রাত্রির তপস্যার পর বাংলার আকাশে সূর্যের মতো উদিত হন সমাজসংস্কারক রামমোহন রায়, তাঁকে “Morning Star of Reformation” বা “ভারতীয় নবজাগরণের অগ্রদূত” বলা হয়।
রাজা রামমোহন রায়ের জন্ম ও বংশপরিচয়
রামমোহন রায় ১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে হুগলি জেলার অন্তর্গত খানাকুল-কৃষ্ণনগরের সন্নিহিত রাধানগর গ্রামে এক সম্পন্ন বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রামকান্ত রায় ও মাতার নাম তারিণী দেবী। রামমোহনের পিতৃকূল ছিল নিষ্ঠাবান বৈষুব, কিন্তু তার মাতৃকুল শাক্ত। পিতামাতার এই ধর্মবিশ্বাসের চেতনা রামমোহনকে ধর্মের তাৎপর্য অনুসন্ধান করেছিল।
রাজা রামমোহন রায়ের শিক্ষাজীবন
রামমোহন তাঁর জীবনের প্রথম চোদ্দো বছর কাটিয়েছিলেন রাধানগরে। ছোটোবেলা থেকেই রামমোহন রায়ের লেখাপড়ায় প্রবল আগ্রহ ছিল। তিনি ৪ বছর বয়সেই গ্রামের স্কুলে বাংলা এবং আরবি ভাষা শিখতে শুরু করেন। তারপর পাটনায় গিয়ে আরবি ও ফার্সি ভাষায় অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। ১২ বছর বয়সে তিনি সংস্কৃত ভাষা শেখার জন্য কাশী ধাম চলে যান এবং সেখানে বেদান্ত শাস্ত্রের ওপরেও গবেষণা করেন।
রাজা রামমোহন রায়ের কর্মজীবন
শিক্ষা জীবন শেষ করার পর রামমোহন রায় রংপুরের ডেপুটি কালেক্টর ডেকারি সাহেবের আমন্ত্রণে একটি উচ্চ পদে চাকরি গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি এই চাকরি বেশিদিন করেননি। তিনি সাহিত্য সাধনা ও সমাজ সংস্কারমূলক কাজের জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়ে কলকাতার মানিকতলা এলাকায় ‘আত্মীয় সভা’ নামে একটি সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন।সমাজ সংস্কার ও সাহিত্যসেবার কাজে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে নিয়োজিত করেন।
বিষয়-আশয়
১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি পৈতৃক ও অন্যান্য সূত্রে কিছু জমি, বাগান, কলকাতাস্থিত জোড়াসাঁকোর বাড়ির মালিকানা লাভ করেন। বৈষয়িক কাজে তিনি কলকাতা, বর্ধমান ও লাঙুলপাড়ায় বিভিন্ন সময়ে অবস্থান করেন। ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে থেকে রামমোহন কলকাতায় বসবাস শুরু করেন। তাঁকে কেন্দ্র করে কলকাতার জনজীবনে এক বিপুল নবচেতনার আন্দোলন শুরু হয়। কলকাতায় এসে তিনি বেদান্ত অনুবাদে হাত দেন। বাংলায় বেদান্তের প্রথম অনুবাদ ছিল এক যুগান্তকারী ঘটনা। এরপর শুরু হয় বাংলার নবজাগরণের কাল।
রাজা রামমোহন রায়ের ধর্ম সংস্কার
রামমোহন তাঁর প্রথম জীবনের শিক্ষক হরিহরানন্দের কাছে হিন্দুশাস্ত্র ও দর্শনের পাঠ গ্রহণ করেছিলেন। কলকাতার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে তাঁর জ্ঞান ও বিশ্বাস মতো ধর্ম, সমাজ, রাষ্ট্র, বাংলা ভাষা, সাহিত্যের উন্নতিবিধানে সচেষ্ট হন। বাংলা ভাষায় বেদান্তের তিনিই প্রথম ভাষ্যকার। সেইসঙ্গে একেশ্বরবাদ প্রচারের জন্য তিনি ‘আত্মীয়সভা’ প্রতিষ্ঠা করেন। এই সভাই পরবর্তীকালে ‘ব্রাহ্মসমাজ’-এর রূপ লাভ করে। তিনি নিরাকার ব্রহ্মবাদের প্রচারক ছিলেন। তাঁর নতুন ধর্মমত তৎকালীন প্রগতিশীল মানুষদের মনে প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাঁর এই ধর্মমত ‘ব্রাহ্মধর্ম’ নামে খ্যাত। তবে রক্ষণশীল হিন্দুসমাজ তাঁর নিরাকার ব্রহ্মবাদকে মেনে নেয়নি। ফলে রক্ষণশীল ব্যক্তিদের তিনি শত্রু হয়ে ওঠেন।
কবি জীবনানন্দ দাশ এর জীবনী জানুন: Click here
রাজা রামমোহন রায়ের ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠা
ব্রাহ্ম সমাজ ও ব্রাহ্ম আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ রাজা রাম মোহন রায় ছিলেন এক অসাধারণ পাণ্ডিত্য সম্পন্ন ব্যক্তি। তিনি আরবি, ফারসি, সংস্কৃত ভাষার সাথে সাথে হিন্দু, মুসলিম ও খ্রিস্ট ধর্মশাস্ত্রের অধ্যায়ন করেছিলেন। তার লক্ষ্য ছিল একেশ্বরবাদ প্রচার করা এবং পৌত্তলিকতার পরিহার করা।১৮২৮ সালে তিনি ব্রাহ্মসভা এবং ১৮৩০ সালে ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনা করা। যদিও তিনি নতুন কোনো ধর্মমত প্রতিষ্ঠা করেননি, তিনি একেশ্বরবাদী মতাদর্শ প্রচার করে ব্রাহ্মসমাজের দ্বার সকলের জন্য উন্মুক্ত করেছিলেন। তিনি বেদে বর্ণিত অদ্বিতীয় ব্রহ্মের উল্লেখ করে প্রচার করেন যে ঈশ্বর এক এবং অদ্বিতীয়।
সমাজ সংস্কারে রাজা রামমোহন রায়ের অবদান
রামমোহন বেশ কিছু সাময়িকপত্রের সম্পাদনা করেন। ইংরেজি-বাংলায় ‘ব্রাহ্মণ সেবধি’, বাংলায় ‘সম্বাদ কৌমুদী’, ফারসিতে ‘মীরাৎ-উল-আখবার’ প্রকাশ করেছিলেন। রামমোহন নির্মিত ব্রাহ্মসমাজ ভবনে সর্বশ্রেণির মানুষের উপাসনার অধিকার ছিল। রামমোহন সতীদাহপ্রথার বিরুদ্ধে জনমত গঠন করেছিলেন। তাঁর চেষ্টায় ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে লর্ড বেন্টিঙ্ক সতীদাহপ্রথা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে তিনি ইংরেজি ভাষাকে উপযুক্ত মনে করতেন। নিজের খরচে ‘অ্যাংলো হিন্দু স্কুল’ স্থাপন করেন। মোটকথা রামমোহন ছিলেন আধুনিক ভারত-চিন্তার জনক।
রাজনৈতিক মতামত এবং বিশ্ববোধ
রাজনৈতিক মতে রামমোহন ছিলেন আন্তর্জাতিকতাবাদী। বিশ্বের বড়ো বড়ো দেশের রাজনীতির খবরাখবর তিনি নিয়মিত রাখতেন। ফ্রান্সে ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে জুলাই বিপ্লবের সংবাদে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। এদেশে জুরি প্রথা প্রবর্তনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। দিল্লির বাদশাহের কাছ থেকে তিনি ‘রাজা’ উপাধি লাভ করেন। পরে তিনি তাঁর দূত হিসেবে ইংল্যান্ডের রাজদরবারে প্রেরিত হন। লিভারপুল বন্দরে অবতরণের পর তাঁকে বিপুলভাবে সংবর্ধিত করা হয়। তিনি ১৮৩২ খ্রিস্টাব্দে প্যারিসে যান, সেখানে লুই ফিলিপ কর্তৃক সংবর্ধিত হন। ইংল্যান্ডে ফিরে ব্রিস্টল শহরে বসবাস শুরু করেন। সেখানে ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে হঠাৎ তাঁর মৃত্যু হয়।মুগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর রামমোহন রায়কে ‘রাজা’ উপাধি প্রদান করেন এবং মুগল সম্রাটের দূত হিসেবে যুক্তরাজ্যে নিয়োগ করেন। সেখানেই ১৮৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে তার জীবনাবসান হয়। রাজা রামমোহন রায়ের জীবনী আমাদের আজও অনুপ্রেরণা জোগায় এবং তাঁর অবদান সর্বদা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়।
সতীদাহ প্রথা বিলুপ্তি
অষ্টাদশ শতকের শেষ ও উনবিংশ শতকের শুরুতে নারীদের উপর বিভিন্ন সামাজিক কুপ্রথা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হতো। তার মধ্যে অন্যতম জঘন্যতম প্রথা ছিল সতীদাহ প্রথা।তৎকালীন সময়ে খুবই অল্প বয়সে নারীদের বিবাহ হয়ে যেত এবং বিবাহ হত বয়স্ক প্রাপ্ত পুরুষদের সাথে। স্বামীর মৃত্যুর পর সেই জ্বলন্ত চিতায় তাদের সহধর্মিনীদের জীবিত অবস্থায় একসঙ্গে শব দাহ করা হতো, যা সতীদাহ প্রথা নামে পরিচিত ছিল। যদি নারী চিতায় উঠতে না চাইতো তাহলে তার উপর বল প্রয়োগ করা হতো। এই প্রথার পশ্চাতে যাদের অন্যতম হাত ছিল তারা হলেন ব্রাহ্মণ। তবে বলা বাহুল্য যে শুধুমাত্র নারীদের উপর বলপ্রয়োগ করা হতো এমনটা নয়, কিছু নারী স্ব ইচ্ছায় এই প্রথা মেনে নিতেন।এই জঘন্যতম প্রথা বন্ধের ক্ষেত্রে যার উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল তিনি হলেন রাজা রামমোহন রায়। তিনি বিভিন্ন গ্রন্থ, বিভিন্ন শাস্ত্র ঘেঁটে প্রমাণ করেছিলেন যে সতীদাহ প্রথা শাস্ত্রসম্মত নয়।
ভারতবর্ষকে ইংরেজরা শোষণ করলেও কয়েকটি ক্ষেত্রে তারা ভালো কিছু কাজ করেছিলেন, তার মধ্যে অন্যতম হলো সতীদাহ প্রথা বন্ধের ক্ষেত্রে লর্ড উইলিয়াম বেনটিং-এর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দে লর্ড উইলিয়াম বেনটিং-এর উদ্যোগে এবং রাজা রামমোহন রায়ের সহায়তায় এই জঘন্যতম প্রথার অবসান ঘটে।
সত্যজিৎ রায়ের জীবনী,জন্ম ও বংশ পরিচয়,শিক্ষা জীবন,কর্মজীবন: Click here
রামমোহন রায়ের সাহিত্য জীবন
রামমোহন রায়ের জীবন প্রধানত উনিশ শতকের তৃতীয় দশক জুড়ে বিস্তৃত। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাগুলির মধ্যে অন্যতম হল – ‘গৌড়ীয় ব্যাকরণ’, ‘সম্পাদকৌমুদী’।এছাড়াও কলকাতায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সময় রামমোহন রায় বাংলায় সম্পাদনা করেছিলেন – বেদান্ত গ্রন্থ, ‘কঠোপনিষদ’, ‘মুন্ডক-উপনিষদ’, ‘বেদান্তসার’।তার পাণ্ডিত্য ছিল অসাধারণ। অনেক ঐতিহাসিক রামমোহনকেই বাংলা গদ্যের জনক বলে থাকেন। প্রায় তিরিশটি বাংলা গ্রন্থ তিনি রচনা করেন। তিনি মুক্তচিন্তার মানুষ ছিলেন। ছিলেন ভারতবর্ষে আধুনিকতার প্রবর্তক। তাই তাঁকে ‘ভারতপথিক’ বলা হয়।
উপসংহার
সাম্য-মৈত্রী-স্বাধীনতার প্রবক্তা রামমোহন ছিলেন ভারতের গৌরবময় অতীত ও অনন্ত সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের মধ্যে জীবন্ত সেতুস্বরূপ। তাই তাঁর নাম আজও অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়।মুগল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর রামমোহন রায়কে ‘রাজা’ উপাধি প্রদান করেন এবং মুগল সম্রাটের দূত হিসেবে যুক্তরাজ্যে নিয়োগ করেন। সেখানেই ১৮৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের ব্রিস্টল শহরে তার জীবনাবসান হয়। রাজা রামমোহন রায়ের জীবনী আমাদের আজও অনুপ্রেরণা জোগায় এবং তাঁর অবদান সর্বদা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়।
রাজা রামমোহন রায় প্রবন্ধ রচনা PDF
“নবজাগরণের শুকতারা সম রাজা রামমোহন রায়, মানবতার মশাল হাতে ভারতপথিক, তুলনা নেই তার।” ভারত তথা সমগ্র প্রাচ্যদেশে যিনি নবজাগরণের বাণী শুনিয়েছেন, তিনিই ‘নবজাগরণের শুকতারা’ ভারতপথিক রাজা রামমোহন রায়। আজকের এই প্রতিবেদনের আলোচ্য বিষয় রাজা রামমোহন রায় প্রবন্ধ রচনা PDF। রাজা রামমোহন রায় প্রবন্ধ রচনা PDF ফাইলটি ডাউনলোড করতে তোমাদের নিচের লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে।
বিষয় | রাজা রামমোহন রায় প্রবন্ধ রচনা PDF |
Download | Click here |
রাজা রামমোহন রায় জীবনী সম্পর্কে আরও জানতেঃ Click here