পড়াশোনা কে আবিষ্কার করেনঃ পড়াশোনা মানে আমরা সবারই জানি যে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশল বা ক্ষমতা যা মানুষের বৃদ্ধি এবং সমৃদ্ধির পথে অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন। পড়াশোনা মানে শেখা, অধ্যয়ন, পাঠ্যপুস্তক পড়া, জ্ঞান অর্জন ইত্যাদির সাথে সম্পর্কিত।পড়াশোনা এবং শিক্ষার প্রক্রিয়া মানব সভ্যতার মৌলিক অংশ হিসাবে ধরা হয়। পড়াশোনার আবিষ্কার একটি নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সময়ের সাথে সংযোগিত নয়, বরং এটি মানব সভ্যতার দিগন্তকে অগ্রগতি করতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং প্রযুক্তিগত উন্নতির একটি প্রক্রিয়া।মানুষের আদিম সময় থেকেই শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা স্বীকৃতি পেয়েছে এবং এর অগ্রগতি হচ্ছে সমাজের উন্নতির গাড়ি।পড়াশোনার প্রক্রিয়া মানব সভ্যতার উন্নতির সাথে সাথে প্রাচীন সময়ের থেকেই শুরু হয়েছে, এবং প্রাচীন সময়ে পড়াশোনা একটি গুরু-শিষ্য পদ্ধতির মাধ্যমে প্রচলিত ছিল।আজকের এই প্রতিবেদনে জানবো পড়াশোনা কে আবিষ্কার করেন? কিভাবে এলো এই পড়াশোনা? পড়াশোনা আবিষ্কারের ফলে কি উন্নতি হয়েছে? জানতে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন
পড়াশোনা কে আবিষ্কার করেন,
চীনের সুই রাজবংশের একজন রাজা যিনি পড়ালেখার আবিষ্কারের পথিকৃত হতে পারেন।৬০৫ খ্রিষ্টাব্দে সুই রাজা একটি সরকারি চাকরিতে নিয়োগের জন্য সার্বভৌম পরীক্ষা আয়োজন করেন।পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদেরকে নির্দিষ্ট বিষয়ে লিখিত পরীক্ষা দিতে হতো,এই পরীক্ষার মাধ্যমে তারা সরকারি কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে যোগ্য তাদের দক্ষতা মূল্যায়ন করা হত।সুই রাজবংশের রাজারা এই পদ্ধতিতে পড়ালেখার ব্যবস্থা প্রথমবারেই শুরু করেন, এবং এটি পড়াশোনার সমাজের প্রাথমিক উপাদান হিসেবে মন্তব্য করা হয়।প্রাথমিক পড়াশোনা সংক্রান্ত কিছু উল্লেখযোগ্য কৃতি এবং ব্যক্তিত্বগুলির মধ্যে ছিলেন:
- আলেকজান্ডার ম্যাগনুস: প্রাচীন গ্রিক ধার্মিক, তারকা, বৈজ্ঞানিক এবং শিক্ষাবিদ। তিনি ভারত অধিবাসনের সময় প্রাচীন ভারতীয় শিক্ষা প্রণালীর সাথে পরিচিত হন।
কনফুসিয়াস: প্রাচীন চীনা দার্শনিক, ধর্মীয় বিশ্বাসের নেতা এবং শিক্ষক। তার শিক্ষা পদ্ধতি চীনা সমাজে ব্যাপকভাবে প্রভাবশালী হয়েছিল।
- সোকরেটিস: গ্রিক দার্শনিক যিনি ‘অন্যের জ্ঞান প্রশ্ন করা’ পদ্ধতিতে পরিচিত। তার প্রশ্নগুলি পৌরাণিক গ্রিক শিক্ষা পদ্ধতিকে অন্বেষণীয় করে।
- প্লাটো: গ্রিক দার্শনিক, যিনি সোক্রেটিসের শিক্ষাগত উত্তরগুলি লেখেন। তার শিক্ষা পদ্ধতির বিশেষ দক্ষতা ছিল আলোচনা এবং সাহিত্যের মাধ্যমে ধর্ম এবং নীতি প্রতিষ্ঠা করা।
পড়াশোনা আবিষ্কারের ফলে কি উন্নতি হয়েছে
- প্রযুক্তিগত উন্নতি: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অগ্রগতি হয়েছে, যা আমাদের জীবনকে সহজ ও সুবিধাজনক করেছে। উদাহরণস্বরূপ, ইন্টারনেটের উদ্ভাবনী পরিকল্পনা, মোবাইল প্রযুক্তি, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার উন্নতি, পোস্টম্যান পদ্ধতি, অটোমেশন সিস্টেম, ইলেকট্রনিক পরিবহন ইত্যাদি।
- চিকিৎসা ও ঔষধ উন্নতি: প্রযুক্তিগত উন্নতির ফলে চিকিৎসা ও ঔষধের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে। নতুন রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি, সংক্রামক রোগের প্রতিরোধ, উন্নত ঔষধ উত্পাদন, চিকিৎসায় রোবটিক ও কম্পিউটার বিজ্ঞানের ব্যবহার ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।
- শিক্ষা ও সাধারণ জ্ঞানে উন্নতি: পড়াশোনা ও প্রযুক্তির বিকাশের ফলে শিক্ষা ও সাধারণ জ্ঞানে অনেক উন্নতি হয়েছে। ই-বুক, অনলাইন শিক্ষা প্লাটফর্ম, ডিজিটাল শিক্ষা সাধারণ জনগণের কাছে শিক্ষার অবসান করেছে।
- কৃষি ও খাদ্য উন্নতি: বায়োটেকনোলজি ও প্রযুক্তির উন্নতির ফলে কৃষি ও খাদ্য উন্নতি হয়েছে। উন্নত ফসল বিকাশ, পুষ্টিগত খাবার উৎপাদন, অপসারণ পদ্ধতি ইত্যাদি অনেক উন্নতি হয়েছে।