Teachers Day Speech In Bengali: নমস্কার বন্ধুরা, তোমাদের প্রত্যেককে বেঙ্গল স্কলারে স্বাগতম। আজকের এই প্রতিবেদনে আমরা তোমাদের জন্য সহজ ও সরল ভাষায় শিক্ষক দিবসের বক্তৃতা নিয়ে এসেছি। এই বক্তব্যটি এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যা তোমরা স্কুল, কলেজ বা যে কোনো শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে পাঠ করতে পারবে।এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত বক্তব্যে শিক্ষক দিবসের মাহাত্ম্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এবং শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে ( Teachers Day Speech In Bengali )। শিক্ষকরা আমাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশক, তাই তাদের অবদান ও ত্যাগের জন্য আমরা চিরকাল কৃতজ্ঞ। এই বক্তব্যের মাধ্যমে তোমরা শিক্ষকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারবে।আশা করি, এই বক্তব্যটি তোমাদের কাজে আসবে এবং তোমাদের বক্তব্যকে আরও সুন্দর ও অর্থবহ করে তুলবে।
Teachers Day Speech In Bengali (শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বক্তব্য)
প্রিয় শিক্ষক শিক্ষিকা, আমার সহপাঠী এবং আমার ছোট বড় ভাই-বোনেরা, আপনাদের সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আজকের এই বিশেষ দিন, ৫ই সেপ্টেম্বর, আমরা শিক্ষক দিবস উদযাপন করতে একত্রিত হয়েছি। প্রথমেই আমি আমার প্রিয় শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই। একজন ভালো শিক্ষক শুধু শিক্ষাদানেই সীমাবদ্ধ থাকেন না, তিনি আমাদের জীবন গঠনের অন্যতম স্তম্ভও। তাই শিক্ষক দিবসে আমাদের সকলের উচিত তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। শিক্ষকরা আমাদের জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে পথপ্রদর্শক হিসেবে রয়ে যাবেন। তাঁদের অবদান কখনো ভোলার নয়। সকল শিক্ষকের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা।
শিক্ষক দিবসের এই বিশেষ মুহূর্তে সকল শিক্ষকের প্রতি প্রণাম জানিয়ে আমার বক্তব্য শুরু করছি। আজকের দিনটি বিশেষ কারণ এটি শুধুমাত্র শিক্ষক দিবস নয়, এটি ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের জন্মদিনও। তিনি তামিলনাড়ুর তিরুতানী গ্রামে (মাদ্রাজ) ব্রাহ্মণ পরিবারে ১৮৮৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পূর্বপুরুষরা সর্বপল্লী নামে একটি শহরে বসবাস করতেন, সেই কারণে রাধাকৃষ্ণণের পরিবারের সদস্যরা তাদের নামের আগে সর্বপল্লী নামটি ব্যবহার করতেন। তাঁর বাবার নাম সর্বপল্লী বীরস্বামী এবং মাতার নাম সিতাম্মা। তিনি ছিলেন একজন মহান শিক্ষক এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি এবং দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি। ১৯৫৪ সালে ভারত সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ সম্মান “ভারতরত্ন” দিয়ে সম্মানিত করে, যা তাকে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এই পুরস্কার প্রাপ্তির গৌরব এনে দেয়। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তার ছাত্ররা তার জন্মদিন পালন করতে চাইলে, তিনি প্রস্তাব করেন যে তার জন্মদিনের পরিবর্তে ৫ই সেপ্টেম্বরকে শিক্ষক দিবস হিসেবে উদযাপন করা হোক। তার এই অনুরোধ মেনে, সেই থেকে প্রতি বছর ৫ই সেপ্টেম্বর দিনটি শিক্ষক দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে আসছে।
শিক্ষিত যুবক যুবতীদের সরকার দিচ্ছে ইন্টার্নশিপের সুযোগ!মাসে 50,000 টাকা উপার্জন,UIDAI Internship 2024: Click here
শিক্ষকরা আমাদের জীবনে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছেন। তারা শুধু আমাদের জ্ঞান দেন না, তারা আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন, জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের সহায়তা করেন, এবং আমাদের জীবনকে সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করেন। আমরা যত বড়ই হই না কেন, আমাদের কখনোই আমাদের শিক্ষকদের অবদান ভুলে যাওয়া উচিত নয়। শিক্ষকরা আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ছায়ার মতো আমাদের পাশে থাকেন, ঠিক যেন একটি গাছের ছায়ার মতো, যা আমাদের জীবনকে প্রশান্তি দেয়। শিক্ষকরা সমাজের মেরুদণ্ড। তাদের ছাড়া একটি সুন্দর সমাজ ও উজ্জ্বল ভবিষ্যত কল্পনা করা যায় না। শিক্ষকদের ভূমিকা আমাদের চরিত্র গঠনে অপরিসীম। তারা আমাদের শুধু পাঠ্যবইয়ের জ্ঞান দেন না, বরং জীবনের প্রতিটি ধাপে আমাদের সঠিক পরামর্শ দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যান। তাই আমাদের উচিত সবসময় তাদের সম্মান করা এবং তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা।
আগস্ট মাসের সরকারি চাকরির তালিকা!বর্তমানে কি কি চাকরির আবেদন চলছে? জেনে নিন: Click here
Teachers Day Speech In Bengali বাংলা ভাষায় শিক্ষক শিক্ষক দিবস উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে চান তাহলে এই প্রতিবেদনটি পড়ুন। আরও তথ্যের প্রয়োজন হলে ক্লিক করুন: Click here