শিক্ষক দিবসের কবিতা: জীবনে চলার পথে শিক্ষা এবং দীক্ষা দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শিক্ষা শিক্ষকের তরফ থেকে আসে, আর দীক্ষা সাধারণত পরিবার থেকে। যদিও অনেক সময় শিক্ষকের কাছ থেকেও আমরা দীক্ষা লাভ করি, যা আমাদের জীবনের পথকে অনেক সহজ করে তোলে। তাই শিক্ষক দিবস শুধুমাত্র একটি বিশেষ দিন নয়, বরং এটি আমাদের জীবনে শিক্ষকদের গভীর প্রভাব উপলব্ধি করার একটি সুযোগ।
আলোচ্য বিষয়
Toggleআজকের এই প্রতিবেদনে, সকল শিক্ষকদের প্রতি আমাদের গভীর প্রণাম জানিয়ে, আমরা শিক্ষক দিবসের সম্মানে তিনটি কবিতা উপস্থাপন করছি। এই কবিতাগুলি তোমরা শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে পাঠ করতে পারবে।
Teachers Day Speech In Bengali : সহজ সরল ভাষায় শিক্ষক দিবসের বক্তব্য: Click here
শিক্ষক দিবসের কবিতা (নাম্বার 1)
আজ ৫ই সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। এই মহতী অনুষ্ঠানে আমাদের প্রধান শিক্ষক মহাশয়, সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, অতিথিবর্গ, অশিক্ষক কর্মীবৃন্দ এবং অভিভাবক-অভিভাবিকাদের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। সহপাঠী, দাদা-দিদি, ভাই-বোনদের আমার আন্তরিক ভালোবাসা জানাই।আজকের এই মহৎ দিনে, আমি শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের প্রণাম জানিয়ে একটি কবিতা পাঠ করছি।
শিক্ষক মানে , দীননাথ মণ্ডল
শিক্ষক মানে শিক্ষা গুরু, মোদের জ্ঞানের দাতা
অন্ধকারে আলোর দিশা, জ্ঞান জগতের ত্রাতা।
শিক্ষক মানে সবুজ মাঠ, মোদের খেলার সাথি
মোদের হাতে দিলেন তিনি বিশ্ব জয়ের বাতি।
শিক্ষক মানে মানুষ গড়ার আসল কারিগর
মোদের কাছে তিনিই হলেন খাঁটি পরশপাথর।
শিক্ষক মানে মোদের কাছে সুখ-দুঃখের বন্ধু
বিশ্ববাসীর প্রাণে তিনিই মণিমুক্তার সিন্ধু।
শিক্ষক মানে নিয়ম-নীতি, মেরুদণ্ড সোজা
চলার পথে উড়িয়ে দেওয়া আদর্শেরই ধ্বজা।
শিক্ষক দিবসের কবিতা (নাম্বার 2)
আজ ৫ই সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। এই মহতী অনুষ্ঠানে আমাদের প্রধান শিক্ষক মহাশয়, সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, অতিথিবর্গ, অশিক্ষক কর্মীবৃন্দ এবং অভিভাবক-অভিভাবিকাদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই। সহপাঠী, দাদা-দিদি, ভাই-বোনদের প্রতি রইলো আমার আন্তরিক ভালোবাসা ।আজকের এই বিশেষ দিনে, আমি শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সম্মানে একটি কবিতা পাঠ করছি।
আদর্শ শিক্ষক , চিরঞ্জিত রবিদাস
শিক্ষক মোদের শিক্ষা দাতা, এই জগৎ সংসারে।
শিক্ষার দ্বারা আলোকিত হয়, ছাত্র-ছাত্রীর মনন্তরে।
শিক্ষক ছাড়া ছাত্র সমাজ, বৃথা জীবনের পারে।
শিক্ষাহীন জীবনে যেন, হতাশার জল ঝরে।
উদার মনের সমস্ত জ্ঞান, যে জন প্রদান করে।
প্রকৃতভাবে শিক্ষক তিনি, আমরা শ্রদ্ধা জানাই তারে।
শিক্ষক মানে পরিপূর্ণ সে, ভিন্ন ভিন্ন রূপে।
শিক্ষক দেখায় পথের দিশা, এই পৃথিবীর বুকে।
স্নেহ, মায়া, ভক্তির ছায়া, সবই থাকে অন্তরে।
দুই চোখে তাঁর সবাই সমান, আমরা শিক্ষক বলি যারে।
এই জীবনের গুরুজন সে, পিতা-মাতার-ই পরে।
শিক্ষক দিবস পালন করি মোরা, তাঁদের করুণাময় চরণে।
ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন এর জীবনী বাংলায়! সহজ সরল ভাষায়: Click here
শিক্ষক দিবসের কবিতা (নাম্বার 3)
আজ ৫ই সেপ্টেম্বর, শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। এই বিশেষ অনুষ্ঠানে আমাদের প্রধান শিক্ষক মহাশয়, সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, অতিথিবর্গ, অশিক্ষক কর্মীবৃন্দ এবং অভিভাবক-অভিভাবিকাদের প্রতি আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই। সহপাঠী, দাদা-দিদি, ভাই-বোনদের প্রতি আমার মঙ্গল কামনা এবং ভালোবাসা জানাচ্ছি।আজকের এই গুরুত্বপূর্ণ দিনে, আমি শ্রদ্ধেয় শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের সম্মানে একটি কবিতা পাঠ করছি।
আদর্শ শিক্ষক , কুমুদরঞ্জন মল্লিক
পড়োর পিতা আমি করিয়ে সবিনয়
বলিছে ছেলে মোর বোকা কি অতিশয়?
যা কিছু শিখেছিল বাড়িতে মহাশয়
এখানে ভুলে গেল এটা তো ভালো নয়?
রাগিয়া কহে শুরু সরাতে হবে মাটি
তবে তো পাকা ভিত বসানো যাবে খাঁটি।
আইরি নাড়াগুলা তুলে না দিলে হেন
জ্ঞানের সারো কচু বসানো যাবে কেন?
এসব সোজা কথা বোঝ না জ্ঞানহীন
জোলাপ না দিলে কি ধরে হে কুইনিন।
শিক্ষক দিবস সম্পর্কে আরো জানতে ক্লিক করুন : Click here
আরও কয়েকটি শিক্ষক দিবসের কবিতা দেখে নিন : Click here